নৌকা প্রতীক পেলেই চেয়ারম্যান- এমন বদ্ধমূল ধারণায় আসন্ন কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন গেলো নির্বাচনে এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রদল নেতা তারেক বিন ওসমান শরীফ এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, ভোটের আভাস না আসার আগ থেকে জেলা থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কাছে ধরনা দিয়ে জোর লবিং চালিয়েছেন তিনি। গেলো ২০১৬ সালের নির্বাচনে তারেক বিন ওসমান শরীফ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে এমন কথা বলছেন মহেশখালী উপজেলা আ.লীগ নেতা সেলিম চৌধুরী। তিনি বলছেন তারেক বিন ওসমান শরীফের চাচা মোহাম্মদ হোসাইনের সহযোগিতায় রাতারাতি টাকার বিনিময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে নৌকার প্রার্থী হওয়ার তাকমা দেখাতে চাইলেও উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়ে তা আর হতে দিইনি আমি।
তিনি বলেন, তৃণমুল আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর সমর্থন দেখাতে ভোটের আগে থেকেই টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী লালন করে আসছেন তারেক। তাড়াছা জেলা, উপজেলা আ.লীগের চিঠি ইস্যু ছাড়াই যেচে ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির আসনে ভারাক্রান্ত ছিলেন এতোদিন। সম্প্রতি নৌকার প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে বর্ধিত সভার আয়োজনে হট্টগোল বাঁধায় এ চেয়ারম্যান। এ বর্ধিত সভায় কক্সবাজার জেলা তাঁতিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে আজিম মোহাম্মদ ছিবগাতুল্লাহকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে তারেকের বিরুদ্ধে। পরে সভাস্থল বর্জন করে অন্য আ.লীগ নেতারা বেরিয়ে পড়েন।
উপজেলা আ.লীগ নেতা সেলিম চৌধুরী জানান, 'আমরা দলের নিবেদিত কর্মী। বিদ্রোহী এবং ছাত্রদল করা হাইব্রিড নেতাদের স্থান যেনো আ.লীগে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে জেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, 'তারেক চেয়ারম্যান একজন লোপাটকারী চেয়ারম্যান। সে গত ৫ বছরে এসপিএম প্রকল্পের কোটি কোটি টাকাসহ গরীবের লাখ লাখ টাকা মেরে খেয়েছে। তাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া মানে নৌকাকে অবমাননা করার সামিল। গত নির্বাচনে সে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার বিষয় স্পষ্ট করতে প্রয়োজনে আমি দলের সভানেত্রীর কাছে যাবো৷ কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী আর দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে আমার দল সমর্থন করতে পারেনা৷ এছাড়াও সে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত।